শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক ::
লোককবি রাধারমণ দত্ত পুরকায়স্থের স্মৃতি বিজড়িত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে রাধারমন দত্ত কমপ্লেক্সের জায়গা নির্ধারন করার সাত বছর অতিবাহিত হলেও নির্মান কাজ শুরু না হওয়ায় সংস্কৃতি কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলার সাংস্কৃতিক সংগঠক ও রাধারমন অনুরাগীরা জানান,২০১৫ সালে বৈষ্ণব পদাবলির মহারাজা লোককবি রাধারমণ দত্ত পুরকায়স্থের মৃত্যু শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের উদ্যােগে রাষ্ট্রীয়ভাবে তিন দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জন্মভূমি জগন্নাথপুর উপজেলায় এ অনুষ্ঠানের উদ্ধোধনী দিনে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী স্হানীয় সংসদ সদস্য ( বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রী) এম এ মান্নান প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তাদের বক্তব্যে জগন্নাথপুরে রাধারমণ কমপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়। সভাশেষে দুই মন্ত্রী কেশবপুর বাজার সংলগ্ন ভূমিতে রাধারমণ দত্তের কমপ্লেক্সের সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে কমপ্লেক্সের জায়গার স্হান নির্ধারণ করেন।
রাধারমন স্মৃতি সংসদের সভাপতি আফরোজ আলী জানান, দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে জায়গা নির্ধারণের সাত বছর অতিবাহিত হলেও রাধারমণ দত্তের কমপ্লেক্সের কাজের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা ব্যথিত।
কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা তরুণ সমাজকর্মী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক আবু হেনা রনি বলেন, রাধারমণ দত্ত দেশের লোক সংস্কৃতি ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। অথচ রাধারমণ দত্ত আজো উপেক্ষিত। যা দুঃখজনক। তিনি দ্রুত রাধারমন কমপ্লেক্সের কাজ শুরুর দাবি জানান।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব বলেন, রাধারমণ দত্ত তিন হাজারের মতো গান রচনা করে আমাদের লোকসংস্কৃতির ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর স্মৃতি বিজড়িত কেশবপুর গ্রামে একটি কমপ্লেক্স হোক এটা সারাদেশের সংস্কৃতি অনুরাগীদের দাবি।তিনি রাধারমণ দত্তের মতো গুনী কবিকে মরণোত্তর একুশে কিংবা স্বাধীনতা পদক দিতে দাবি জানান।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আকমল হোসেন বলেন, প্রতিদিন দেশ বিদেশের মানুষ কেশবপুর গ্রামে রাধারমন দত্তের শেষ স্মৃতি চিহ্ন সমাধি দেখতে আসেন। এখানে একটি কমপ্লেক্স থাকলে সংস্কৃতির চচ্চা আরো বিকশিত হতো।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ভূমি জটিলতায় কমপ্লেক্স স্হাপন আটকে ছিল। বর্তমানে ভূমি জটিলতা নিরসন হয়েছে। আশা করছি রাধারমণ দত্ত কমপ্লেক্স অচিরেই হবে। তিনি বলেন, গত বছর সংস্কৃতি মন্ত্রী রাধারমণ দত্তের বাড়ি পরিদর্শন এলে বিষয়টি সাংস্কৃতিক কর্মীরা তাঁর নজরে আনলে তিনি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
Leave a Reply